যাই হোক, এবার তাহলে আসুন জেনে নেই নিজেকে ভালোবাসার কয়েকটি গোপনসূত্র।
নিজেকে ভালোবাসার ৫টি পদ্ধতি
১. নিজেকে অভিনন্দন জানান এবং পুরস্কৃত করুন:
আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করি। সেটা হতে পারে ছোট কিংবা বড়। এ সময় আমাদের উচিত নিজেদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে পুরস্কৃত করা। এবং এ পুরস্কারটি হওয়া উচিত উচ্চমানের। ধরুন আপনি কোন ক্ষেত্রে সফলতার কারণে সিলভার কিংবা ব্রোঞ্জ মেডেল পেলেন। এক্ষেত্রে আপনি নিজেকে ব্রোঞ্জ বা সিলভার মেডেল না দিয়ে সোনার মেডেল প্রদান করুন। এভাবে নিজের সফলতায় আপনি নিজের কাছ সর্বোচ্চ সম্মানটিই গ্রহণ করুন।
২. নিজের যা আছে তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকুন :
পৃথিবীতে অনেক লোক আছেন যারা সারা দিন নিজের যেটা নেই কিংবা স্বীয় দুর্বলতা অথবা যা তিনি করতে পারেন না সেটা নিয়েই বেশি চিন্তা করে অধিকাংশ সময় নষ্ট করে ফেলেন। ফলে নিজের যা আছে তারও সঠিক ব্যবহার করতে পারেন না।
অপরদিকে এমন লোকও আছেন যারা নিজের যেসব উপায় উপকরণ কিংবা গুণাবলী আছে তার যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে জীবনে সফলতা অর্জন করেন। সুতরাং আপনি প্রথম দলের অন্তর্ভূক্ত না হয়ে শেষোক্ত দলের অন্তর্ভূক্ত হন।
৩. অপ্রয়োজনীয়ভাবে নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করবেন না:
একটি বিষয় সব সময় মনে রাখবেন যে, আপনি স্বীয় ক্ষেত্রে অনন্য। অনেক লোক আছেন যার তার চেয়ে অনেক উচ্চ পর্যায়ের লোকের সাথে নিজেকে তুলনা করেন। আর ভাবেন- ঐ লোক কত সুন্দরভাবে কাজ করতে পারেন কিংবা অনেক বেশি জানেন ; আমি তার মত কোন দিনই পারব না ইত্যাদি, ইত্যাদি। আপনি কখনো এসব ভাবনার লোকদের মত হবেন না। কেননা এভাবে ভাবলে আপনি আপনার নিজস্ব দক্ষতাকেই ছোট করবেন। সুতরাং বাস্তববাদী হোন এবং এধরণের অপ্রয়োজনীয় তুলনা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
৪. নিজের যত্ন নিন:
জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা ব্যর্থতাসহ নানা সমস্যার মুখোমুখি হই। এ রকম পরিস্থিতিতে আমাদের উচিত নিজেদের প্রতি আরও বেশি যত্নবান হওয়া এবং নিজেকে বেশি বেশি ভালোবাসা। এমনকি পৃথিবীর ৬শ’ কোটি লোক আপনাকে ঘৃণা করলেও আপনার উচিত নিজেকে ভালোবাসা। একটি মনে রাখবেন, নিজেকে যত বেশি ভালোবাসবেন, আপনি তত বেশি সুখী ও সফল ব্যক্তিত্বে পরিণত হবেন। তেমনিভাবে নিজেকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সুন্দর আবস্থায় রাখুন। নতুবা রাগ, ক্রোধ ও দুশ্চিন্তার মত নেতিবাচক আবেগগুলো আগুনের ন্যায় ছড়িয়ে পড়ে অল্প সময়ের মধ্যেই আপনার জীবনকে ধ্বংস করে দেবে।
৫. নিজেকে সুন্দরভাবে উস্থাপন করুন:
আরেকটি বিষয় সবারই মনে রাখা উচিত যে- আপনার কর্মকান্ড, জীবনপদ্ধতি, মতামত ইত্যাদি আপনার মনের গভীরে লালিত চিন্তা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটায়। সুতরাং নিজের মনে ইতিবাচক চিন্তা লালন করুন এবং নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন। আপনি যদি জীবনকে ইতিবাচকভাবে দেখেন তবে সবকিছুই সঠিকভাবে হবে নতুবা সব কিছুই দেখতে পাবেন আপনার চিন্তা ও মতের বিপরীত।
Very good article
উত্তরমুছুন